কুষ্টিয়া জেলায় ৩০৯টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া জেলার তথা বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে মজমপুরে (পুরাতন বাস ষ্ট্যান্ডের সন্নিকটে) অবস্থিত। যার দক্ষিণ প্রাচীর ঘেঁষে রয়েছে সার্কিট হাউস। প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে রেয়েছে ডি.সি. কোর্ট, পূর্ব দক্ষিণ কোণে রয়েছে ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল। সামান্য উত্তরে রয়েছে বিপনী বিতান সমৃদ্ধ সুপার মার্কেট, পুলিশ ষ্টেশন এবং আর একটু উত্তরদিয়ে বয়ে গেছে গড়াই নদী। সবদিক দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত আট একর ভূমির উপর গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই কুষ্টিয়া জিলা স্কুল। একটি তিনতলা ও একটি দোতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, উত্তর পার্শ্বে রয়েছে দোতলা বিশিষ্ট ছা্ত্রাবাস, পুকুর-সুইমিং পুল ও পূর্বদিকে খোলা মাঠ। ডবল শিফটের এই বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২,৩৫৯ জন এবং প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক সংখ্যা ৫৪ জন।
১৯৬১ সলে সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ১৯৬২ সালে বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৬৩ সালে প্রথমবারের মত এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। প্রথম বারেই এই বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী মোঃ আব্দুল কাদের যশোর বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান দখলের গৌরব অর্জন করে। গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যালয়টি ১ম/২য় স্থানসহ প্রতিনিয়ত মেধা তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখলের মধ্যদিয়ে অত্র অঞ্চলের একটি অসাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর অত্র অঞ্চলের বোর্ড নির্ধারিত সেরা দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বর্তমানে এটি ২য় স্থানে অবস্থান করছে।
প্রধান শিক্ষকের বাণী
কুষ্টিয়া জেলার তথা বাংলাদেশের মধ্যে একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া জিলা স্কুল। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রেখেছে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর। সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের গৌরবময় পরিক্রমায় এবার যুক্ত হল নিজস্ব ওয়েবসাইট। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা এই ওয়েবসাইটের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ সহজ ও দ্রুততম সময়ে তথ্য ও উপাত্ত সেবা পাবে এবং দাপ্তরীক কাজের সচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে । বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কোন বিকল্প নাই। উন্নয়নের স্বার্থেই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ওয়েবসাইটটি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্থ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। পরিশেষে ওয়েবসাইটটির সফলতা ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হোক এই কামনা করি।